তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণের পরই তাদের অগ্রাধিকারমূলক কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করেছেন।
তবে সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণই মাদকের বিরুদ্ধে একাট্টা। তারা প্রথমেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, আমার প্রধান কাজ হচ্ছে স্বচ্ছতার মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সরকার নির্ধারিত ফি নিয়ে জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা। পরিষদের কারো বিরুদ্ধে নাগরিক সনদ বা জন্ম নিবন্ধনের জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত পদক্ষেপ প্রহণ করব।
সরকার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ খোলা এবং ইউনিয়নবাসীর সহযোগিতা নিয়ে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলা হবে।
পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতুব্বর বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং কোনো প্রকার গোলমাল, কাইজা, মারামারি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব।
দায়িত্ব গ্রহণের পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করার জন্য চিহ্নিত কাজের বিষয়ে রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা জানান, এলাকা থেকে মাদক নির্মূলই আমার মূল লক্ষ্য। এছাড়া ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে সরকারের বরাদ্দ সঠিকভাবে বন্টন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, দুর্নীতি নিজে করবো না এবং কোনো প্রকার দুর্নীতির সাথে আপোস করবো না। পরিষদের কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনের পূর্বে বলেছি আমরা গরিবের বন্ধু। কাজে কর্মে সেটার প্রমাণ দিতে চাই।
ময়না ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক মৃধা বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী সঠিকভাবে বন্টন করবো। এছাড়া জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবো। আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন চাওয়া-পাওয়া নাই।
দাদপুর ইউনিয়নের পুনর্নিবাচিত চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করবো। অনেক রাস্তা-ঘাট কাঁচা রয়েছে সেগুলো পাকাকরণের ব্যবস্থা করবো। সামাজিকভাবে হাটবাজার ও পরিবেশগত উন্নয়নের চেষ্টা করবো।
বোয়ালমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক তার অগ্রাধিকারমূলক কাজের বিষয়ে বলেন, বিগত দিনে জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্র নিতে এলাকার জনগণের ভোগান্তি হয়েছে। এখন আর তা হবে না। সরকার নির্ধারিত ফি বাদে কোনো টাকা লাগবে না। আমার এলাকার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট কাঁচা সেগুলো পাকাকরণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো।
গুনবহা ইউনিয়ন থেকে টানা পঞ্চমবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনের অসমাপ্ত কাজগুলো আগে শেষ করব। এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা করব, কালভার্ট নির্মাণ করব এবং ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করব।